চীনের তৈরি ভ্যাকসিনই কি চূড়ান্ত!

করোনা মহামারিতে বিশ্ব হারিয়েছে তার গতি। কেভিড -১৯ ভাইরাসের ভয়ে মানুষ হয়েছে ঘরবন্দি। তবুও রক্ষা মেলেনি বিশ্ববাসীর। সারা বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। সবার চাওয়া একটাই কবে মিলবে করোনা থেকে মুক্তি। বিভিন্ন দেশ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা চালিয় যাচ্ছে। কেউ বা চূড়ান্তভাবে পরীক্ষায় গিয়ে আটকে গেছে। তাহলে কি চীনাদের আবিষ্কার করা ভ্যাবসিনই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে?

এমন দুর্যোগ মুহূর্তে করোনার চিকিৎসায় আশার কথা বললেন চীনের শীর্ষ রেসপিরেটরি বিশেষজ্ঞ ঝং ন্যানশান। তিনি বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চীন নভেল করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।

সোমবার (৮ জুন) চীনের সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট বাইডুর এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।

এর আগে, গত মাসে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গ্যাও ফু-ও একই ধরনের আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভ্যাকসিনটি কারা আগে পাবেন; কখন পাবেন সেবিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করছে চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য কি ধরনের বিষয় গুরুত্ব পাবে সেবিষয়ে কাজ করছে চীনা এই সরকারি সংস্থা।’ এবার তার সঙ্গে সুর মেলালেন আরেক বিশেষজ্ঞ ন্যানশান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান অ্যান্থনি ফওসি-ও একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই চলতি বছরের শেষের দিকে ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তত করা হতে পারে। চীনা বিশেষজ্ঞ ঝং ন্যানশান বলেছেন, কোনও ধরনের প্রতিরোধ না থাকলে ব্যাপক মৃত্যু ছাড়া হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব নয়। হার্ড ইমিউনিটি অর্জন টিকা আসা ছাড়া চিন্তা করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ইমিউনিটি অর্জনের জন্য একটি দেশের কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে নভেল করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে হবে। আর এটি হলে ৩ থেকে ৪ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। এখনও এর একমাত্র সমাধান গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ।

ঝং ন্যানশান বলেন, হার্ড ইমিউনিটি এখনও ভ্যাকসিন তৈরির ওপর নির্ভর করছে। তবে বৃহৎ পরিসরে গণহারে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করতে এক থেকে দুই বছর সময়ের দরকার হবে। তবে নতুন একটি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা এই শরতের শুরুর দিকে পাওয়া যেতে পারে।